হস্তমৈথুন নিয়ে একটি ইসলাম ধর্মীয় পোস্ট , এই পোস্টটি মুসলিমদের জন্য । যারা ইসলামের বিধি অনুসারে জীবন পরিচালনা করতে চান । ( এর সাথে মেডিকেলের কোনো সম্পর্ক খুজবেন না )
হস্তমৈথুন করা গোনাহের কাজ। এ কাজ থেকে তওবা করা আবশ্যক।
আর প্রতিটি গোনাহ থেকে মুক্ত হবার পদ্ধতিই হল খালিস দিলে তওবা করা। তওবা করার দ্বারা ব্যক্তি এতটাই পবিত্র হয়ে যায় যে, যেন সে উক্ত গোনাহ করেইনি।
إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ [٢:٢٢٢
নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [বাকারা-২২২]
إِنَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا [٤:١٧] وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا [٤:١٨
অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন,যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে,অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী,রহস্যবিদ। আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে,এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়,তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। {সূরা নিসা-১৭-১৮}
عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ»
হযরত ইবাদা বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, গোনাহ থেকে তওবাকারী গোনাহ করে নাই ব্যক্তির মত হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫০]
তাওবা করার পদ্ধতি
তওবা হওয়ার জন্য শর্ত তিনটি। যথা-
১- গোনাহ ছেড়ে দেয়া।
২- গোনাহের কাজটি ভবিষ্যতে আর না করার দৃঢ় অঙ্গিকার করা।
৩- পূর্ব গোনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া।
এ তিনটি কাজ পাওয়া গেলে এরই নাম তওবা।
এছাড়া কোন হক্কানী বুজুর্গের হাত ধরে বাইয়াত হয়ে গোনাহ ছেড়ে পূণ্যের কাজ করার বাইয়াত করার মাধ্যমেও তওবা করা যায়। তবে তওবার জন্য এটি জরুরী নয়।
নিজে নিজে উপরোক্ত তিনটি কাজ করার দ্বারাই তওবা পূর্ণ হয়ে যায়।
হস্তমৈথুন ছাড়ার কার্যকরী টিপস :
১. পর্নভিডিও সম্পূর্ণ ছাড়তে হবে মনে রাখবেন এটি আপনাকে ফাঁদে ফেলার শয়তানের প্রথম স্টেপ। মনে হবে আরে দেখি কি হবে বীর্য বের করবনা কিন্তু আপনার ক্ষতি ঠিকই হবে মস্তিষ্ক সংকেত দিবে আপনাকে হস্তমৈথুন করতে। সো নো ট্রাপ।
২. দৃষ্টি সংযত রাখুন। মেয়ে দেখলেই কুদৃষ্টি দিবেন না এটি যেনা। সর্বদা প্রফুল্লচিত্তে ইতিবাচক ভাবতে হবে।
৩. দুষ্টু বন্ধুদের থেকে দূরে থাকুন , নিরাপদ দূরত্বে।
৪. যদি সম্ভব হয় বিয়ে করুন না হলে নিজে সংযত করুণ, মাঝে মাঝে রোজা রাখুন। অতিরিক্ত ফ্যাট খাবার পরিহার করুন। প্রচুর পানি পান করুন।
৫. সালাত আদায় করুন। সকালে উঠুন পারলে ৫ মিনিট দৌড়ান। ব্যয়াম করুন। শ্রেষ্ঠ মেডিটেশন হলো সিজদাতে লম্বা সময় দেয়া।
৬. যখন বীর্য বের করতে মন চাবে তখন লম্বা শ্বাস-প্রশ্বাস নিন, দেখবেন লিঙ্গ নুয়ে যাবে।
৭. যেকোনো সেক্স সংক্রান্ত আলোচনা থেকে বিরত থাকুন।
৮. আর মনে রাখবেন ইসলামে এটি মহাপাপ, এর শাস্তি ভয়াবহ, দুনিয়ায় এর ফল খুবই যন্ত্রনাদায়ক। আল্লাহ আমাদের নিশ্চয়ই সফল হতে সাহায্য করবেন। সর্বদা আল্লাহর সাহায্য কামনা করবেন। দরুদ, আয়াতুল কুরসি পাঠ করবেন।
৯. মনে রাখবেন আপনি কুকুর না যা ইচ্ছে করবেন। নিজের স্ত্রীর হক নষ্ট করবেন না। যার বীর্য শক্তি ঠিক তার পরিবার সুখের। যারা বীর্য ফেলে এরা সারাক্ষণ চিন্তিত আর রোগে ভোগে, চোখের জ্যোতি কমে মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ ক্ষয় হয়। মেধাশক্তি কমে যাবে। আপনার দ্বারা কিছুই সম্ভব হবেনা।
১০. আমি ১০০% চ্যালেঞ্জ করে বলছি মাত্র ২১ দিন হস্তমৈথুন বন্ধ রাখুন দেখবেন শরীরের পরিবর্তন শুরু। আপনার মস্তিষ্ক ২০০% গুন বেশি কার্যকরী উয়ে উঠবে। আপানার সবকিছুতেই আত্মবিশ্বাসী আর আল্লাহর রহমতে ভরে যাচ্ছে।
নিয়মিত নামাজ, ব্যায়াম, মেডিটেশন, রাতে ঘুম, সকালে উঠবেন। মনে রাখবেন হস্তমৈথুন হলো মরণফাঁদের নাম যা ধ্বংসের চূড়ান্ত!
আপনার প্রতি দোয়া রইলো যেন আল্লাহ আপনাকে সমস্ত গুনাহ থেকে বাঁচার তাওফিক দান করেন,, আমিন||
(সংগৃহীত)