মাস্টারবেশন হস্তমৈথুন এর কারনে আমাদের ক্ষতি কিভাবে হয় ?
আমরা চলি ও আমাদের চালায় আমাদের ব্রেন। আমরা সুস্থ থাকব কি অসুস্থ হব এ বিষয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্রেইন নিয়ন্ত্রণ করে। ( সব ক্ষেত্রে না )
আমাদের মনকে তিন ভাগে ভাগ করতে পারি
১) চেতন অবস্থা
২) অচেতন অবস্থা
৩) অবচেতন অবস্থা।
আপনি আমার এই পোস্ট পড়ছেন তার অর্থ আপনি চেতন অবস্থায় আছেন।
আপনি যদি ঘুমিয়ে যান অথবা অজ্ঞান হয়ে যান তাহলে আপনি অচেতন অবস্থায় থাকবেন।
এছাড়া মাঝামাঝি একটা অবস্থায় আছে যেটাকে আমরা বলি অবচেতন মন, এই অবচেতন মন আমাদের সকল বিষয় প্রোগ্রাম করে রাখে। ঠিক কম্পিউটারের মত।
একটা কম্পিউটারে অপারেটিং সিস্টেম দেওয়া থাকে,তারপর আপনি আপনার ইচ্ছামত যে কোন প্রোগ্রাম কে ইন্সটল করে ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যে প্রোগ্রাম ইন্সটল করবেন এগুলো হচ্ছে সফটওয়্যার।
সফটওয়্যার যেমন পজিটিভ আছে, নেগেটিভ ও আছে , পজিটিভ সফটওয়্যার হলো যা আমাদের ভালো কাজে লাগে। যেমন এমএস ওয়ার্ড, ফটোশপ ইত্যাদি। আর নেগেটিভ সফটওয়্যার হচ্ছে ভাইরাস। এই ভাইরাস একটা কম্পিউটার কে শেষ করে।যদিও এই ভাইরাসটি ধরা যায়না দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না, অথচ এই ভাইরাস দেখা যায় ধরা যায় ছোঁয়া যায় এমন একটা ফিজিক্যাল বস্তু কম্পিউটারের যন্ত্রাংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলতে পারে।
তেমনি কম্পিউটারের মত আমাদের অবচেতন মনে দুইভাবে প্রোগ্রাম হয় তথ্যগুলো।
১) ইতিবাচক প্রোগ্রাম
২) নেতিবাচক প্রোগ্রাম।
অর্থাৎ কেউ যদি বলে যে তুমি জীবনে অনেক বড় হবে , বা কোন মোটিভেশনাল কথা শুনে তখন তার মধ্যে উদ্দীপনা শুরু হয় সে উজ্জীবিত হয়। আর যদি একটা মানুষকে একটা নেগেটিভ কথা বলা হয় তখন ঐ মানুষটা ঐ নেগেটিভ কথা দ্বারা প্রভাবিত হয় ।
এটা হচ্ছে প্রমাণিত সত্যি কথা।
এখন, যে মানুষটা মাস্টারবেশন করে ফেলেছে, করা হয়ে গেছে, অতীত হয়ে গেছে। মানুষটা আর মাস্টারবেশন করতে চাচ্ছেনা ধর্মীয় নিষেধের কারনে।
এখন যদি কেউ এই মানুষটার সামনে বলে যে মাস্টারবেশন করলে এই রোগ হবে, ওই রোগ হবে, যৌন অক্ষমতা তৈরি হবে ......... ইত্যাদি ইত্যাদি, তাহলে ওই মানুষটা ভয় পেয়ে যাবে এবং তার অবচেতন মনে একটা নেগেটিভ প্রোগ্রাম তৈরি হবে।
কারণ সে তো অলরেডি মাস্টারবেশন করে ফেলছে এবং সে চিন্তা করবে যে সে অনেক বড় ভুল করে ফেলছে। এর ফলে সে অসুস্থ হয়ে যাবে।
যদিও মেডিকেল সাইন্স বলে এর ফলে শারীরিক কোনো ক্ষতি হয় না , তবুও সে অসুস্থ হয়ে যাবে , কারন হলো এটা নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা।
আর এটা সত্যি হিসেবে যত বেশি সে মনে করবে তত বেশি অসুস্থ হবে। এই অসুস্থতা শারীরিক কারণে না , তার মানসিক নেগেটিভ প্রোগ্রামের কারণে। এর ফলে সত্যি সত্যি মানুষটা অসুস্থ্য হয়ে যাবে ।
আশা করি বুঝেছেন।
( বি: দ্র: ইসলাম ধর্মে হস্তমৈথুন হারাম ,তাই এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে । ইসলাম ধর্মে হস্তমৈথুন হারাম হওয়ার কারনে আমরা কোনো ভাবেই এটাকে সমর্থন করি না । আগে আমার কাছে ধর্ম তারপর অন্য সব )