যৌন শিক্ষা মুলক ১৮ + লেখা
লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা (ইরেকটাইল ডিসফাংশন )
🟩 লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার উপসর্গ গুলো কি কি?
.
★পুরুষ ইচ্ছা করলে পার্টনারের উপস্থিতিতে বা অনুপস্থিতিতে লিঙ্গ উত্থান ঘটাতে পারে না ।
★একবার ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থান হলেও উত্থানজনিত অবস্থা একেবারে ধরে রাখতে না পারা। এর ফলে লিঙ্গ একবার শক্ত হলেও একটু পর আবার আগের মত স্বাভাবিক নরম অবস্থায় চলে যায়।
★যৌন সঙ্গম বা ইন্টারকোর্সের সময় সঙ্গমকে পরিপূর্ণতা দান করতে বা সঙ্গমে সন্তুষ্টি লাভ করতে যে পরিমাণ ইরেকশনের প্রয়োজন হয় তা না হওয়া।
★যৌন আগ্রহ বা যৌন ইচ্ছা ইত্যাদিতেও ঘাটতি দেখা দিতে পারে
★পুরুষের চরমপুলকজনিত ব্যর্থতা এবং বীর্যস্খলনজনিত নানা সমস্যাও একই সঙ্গে বিরাজ করতে পারে
.
🟩 কখন এ সমস্যা বেশি হয় ?
.
বেশিরভাগ পুরুষের হঠাৎ করে দু-একবার লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু এই লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা যখন দীর্ঘমেয়াদি রূপ লাভ করে এবং অব্যাহত ভাবে থাকে তখনই তা ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের ওপরে এবং ব্যক্তির যৌন জীবনে নানা ধরনের শষ্কা ও নেতিবাচক অনুভূতির জন্ম দেয়।
.
এখানে একটি কথা বিশেষভাবে বলা দরকার,একবার যাদের লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা হয়ে পড়ে তারা বারবার মনে করতে থাকে পরের বার যৌনমিলনে সমস্যাটি বুঝি আবার হবে। এই অতিরিক্ত আগাম যৌন দুশ্চিন্তার কারণে যৌনমিলনের সময় লিঙ্গ উত্থান নাও ঘটতে পারে একে আমরা বলি পারফরমেন্স এ্যাংজাইটি।
.
এই অ্যাংজাইটি জনিত কারণে সমস্যা অনেক বেড়ে যেতে পারে।আবার অনেক পুরুষ রয়েছে যাদের যৌন সঙ্গমকালীন সময়ে লিঙ্গ ঠিকই উত্থিত হল কিন্তু বর্ধিত যৌন চাপের কারণে সাথে সাথেই বীর্যস্খলিত হয়ে গেল। দ্রুত বীর্যপাত হয়ে গেল। এরও মূল কারণ এ্যাংজাইটি, এটাকে বলে প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন।
.
এত কিছুর পরেও সৌভাগ্যের কথা এই যে,পুরুষত্বহীনতা বা যৌন অক্ষমতার জন্য শারীরিক ও মানসিক যে কারণেই দায়ী হোক না কেন উপযুক্ত এবং আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়।
.
🟩 কি কি শারীরিক সমস্যার কারণে লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা হতে পারে?
.
★ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ
★উচ্চ রক্তচাপ
★রক্তনালী সম্পর্কীয় অসুখ
★স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ
★রক্তে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল
★যৌন অঙ্গ গুলোর স্বাভাবিক বিকাশ এবং কার্যকারিতার জন্য যে সকল হরমোনের প্রয়োজন সেগুলো লেভেল যদি কম থাকে। যেমন: রক্তে টেস্টোস্টেরন হরমোনের লেভেল যদি কম থাকে।
★থাইরয়েড গ্রন্থির কোন সমস্যা থাকলে
★মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস নামক অসুখ থাকলে
★পেনিস বা পুরুষাঙ্গের কোন ধরনের আঘাত এর জন্য
★পেলভিসের কোন ধরনের আঘাত, ইনজুরি বা সার্জারি হলে
★রেডিয়েশন ট্রিটমেন্ট এর ফলে
★উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যেসকল ওষুধ সেবন করা হয় তাদের কতগুলো সেবনে যৌন অক্ষমতা দেখা দিতে পারে
★এন্টিডিপ্রেসেন্ট বা বিষন্নতারোধী কিছু ওষুধ লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা করে
★মূত্রবর্ধক ওষুধ সেবনেও সাময়িকভাবে লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা হতে পারে
★যারা দীর্ঘমেয়াদি এ্যালকোহল এবিউজ তাদের লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা হতে পারে
★মাদকাসক্তদের লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা হতে পারে
★যারা অতিমাত্রায় ধূমপান করেন বা চেইনস্মোকার তাদের ক্ষেত্রে লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা হতে পারে
.
🟩 কি কি মানসিক সমস্যার কারণে লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা হতে পারে?
.
★ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা
★অ্যাংজাইটি বা দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ রোগ
★স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রিলেশনশিপ প্রব্লেম
★সাম্প্রতিক জীবনে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন যেমন- বাচ্চার জন্মদান, চাকরি থেকে অবসর গ্রহন ,চাকরি পরিবর্তন,কোনো অন্তরঙ্গ পার্টনারকে হারানো, অন্তরঙ্গ পার্টনারের মৃত্যু, বিবাহ বিচ্ছেদ ইত্যাদি কারণেও পুরুষের লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
.
🟩 কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?
.
হঠাৎ করে দু-একবার লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা হতে পারে, যা সাময়িক। আশা করা যায় এ সমস্যা ধীরে ধীরে ঠিক হয়ে যাবে।তাই এক্ষেত্রে আগেই ধারণা করা উচিত নয় যে উত্থানজনিত সমস্যাটি আবারও ঘটবে।সবচেয়ে ভালো হয় উত্থানজনিত যে সমস্যাটি ঘটেছিল সেটির কথা ভুলে যান এবং পরবর্তীতে আপনি আরো সুখকর যৌনানুভূতি লাভ করবেন মনে মনে এমন ধারণা পোষণ করুন।
.
যৌন পার্টনারের সঙ্গে আপনার সমস্যা নিয়ে, যৌন আচরণে আপনার কোনো ভয়-ভীতি বা দুশ্চিন্তা থাকলে একেবারে খোলামেলা আলাপ-আলোচনা করুন। এতে অনেক বিষয়ে ডাক্তারের সাহায়তা ব্যতীত একটি ভালো পারস্পারিক সমঝোতায় পোঁছানো যায়। এবং লিঙ্গ উত্থান জনিত সমস্যা দূর হয়ে যায়।
.
যদি দুই সপ্তাহের ভেতরে আপনাদের সমস্যাটির সমাধান না হয় এবং প্রতি চারবারে একবার করে উত্থানজনিত সমস্যা হয় তাহলে এ বিষয়ে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।