অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ফেইসবুক পেইজের প্রচার:
খালি পোস্ট দিয়েই হাত গুটিয়ে বসে থাকা চলবে না। অন্যান্য চ্যানেলেও নিজের কন্টেন্টগুলো প্রমোট করুন। পেইজে ট্র্যাফিক আনার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন যাতে পোটেনশিয়াল কাস্টমাররা আপনার পেইজ সম্পর্কে জানতে পারেন। আপনি ইমেইল মার্কেটিং করে থাকেন তাহলে প্রতিটা ক্যাম্পেইনে একটা ফেইসবুক বাটন যুক্ত করে দিতে পারেন। এতে করে ইউজাররা খুব সহজেই লিংকে ক্লিক করে সরাসরি পোস্ট দেখতে পারবেন।
আপনি ইনস্টাগ্রাম ইউজার হলে ফেইসবুক পেইজ লিংক আপনার বায়োতে যুক্ত করতে পারেন। আপনার কোনো ব্লগ থাকলে সেখানেও ফেইসবুক লিংকটা দিয়ে দিতে পারেন।
সঠিক URL এর ব্যবহার:
এটা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ মনে না হলেও, URL পার্শিয়াল মার্কেটিং হিসেবে কাজ করে। আপনার URL এ যদি ব্র্যান্ড নেমটা দেওয়া থাকে তাহলে তা সহজেই ইউজারদের চোখে পড়ে। আপনি অন্য কোনো মাধ্যমে এই লিংকটা শেয়ার করলে মানুষজন সহজেই আপনাকে মনে রাখতে পারবেন। আর এইটা প্রফেশনালও দেখাবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার URL এ যদি সঠিক কিওয়ার্ড থাকে, তাহলে এইটা এসইও স্ট্র্যাটেজিও বুস্ট করবে।
সিটিএ (CTA) বাটন যুক্ত করুন:
কল টু অ্যাকশন (সিটিএ) আপনার মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই একটা জিনিস আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি হওয়া এবং না হওয়ার মধ্যে পার্থক্য গড়ে তুলতে পারে। এটি মূলত আপনার বিজ্ঞাপন, সোশ্যাল মিডিয়ার অথবা ওয়েব পেইজের অংশ যা আপনার অডিয়েন্সকে পরবর্তীতে ধাপ সম্পর্কে জানতে সহযোগিতা করে। এই টেকনিকের মাধ্যমে আপনি কনভার্সন বাড়াতে পারবেন, এনগেজমেন্ট বুস্ট করতে পারবেন এবং যেকোনো পেইজের ট্র্যাফিক বৃদ্ধি করতে পারবেন। আপনার পেইজের মূল উদ্দেশ্য মাথায় রেখে সঠিক সিটিএ নির্বাচন করুন। যেমন: “Contact Us,” “Sign up,” “Book now,” “Shop now,” “Follow,” “Call now,” ইত্যাদি। সিটিএ যুক্ত করার জন্য কভার পেইজের নিচে “+Add a Button” এ ক্লিক করুন।
ফেইসবুক মেসেঞ্জার বটের মাধ্যমে কাস্টমার সাপোর্ট
আপনি হয়তো সবসময় অনলাইনে থাকবেন না। অথবা কোনো সমস্যার কারণে হয়তো টানা কয়েক ঘন্টা পেইজের মেসেজ চেক করেননি। এখন আপনি কি আপনার কাস্টমারদের এতক্ষণ অপেক্ষা করাবেন? যাতে কাস্টমারদের প্রশ্নের উত্তরের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে না হয়, সেজন্য রয়েছে ফেইসবুক মেসেঞ্জার বট। এটা হলো কথা বলতে পারে এরকম একধরনের চ্যাট ইন্টারফেস, যেখানে আগে থেকেই কাস্টমাররা জিজ্ঞেস করতে পারেন এমন তথ্য দেওয়া থাকে। আপনি খুব সহজেই এর মাধ্যমে তথ্যের আদান প্রদান, বিভিন্ন কাজ করিয়ে নেয়া ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। মনে হবে আপনি একজন মানুষের সাথেই কথা বলছেন! আসলে কিন্তু তা নয়! এটার জন্য আপনাকে শুধু কিওয়ার্ড অনুসারে প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে রাখতে হবে। বাকি কাজটুকু বট নিজেই করে নিবে।
ফেইসবুক পিক্সেল ব্যবহার করুন
এই অ্যানালাইটিকাল টুলের মাধ্যমে আপনি ভিজিটরদের ইনসাইট অ্যাক্টিভিটিগুলো দেখতে পারবেন। এর পাশাপাশি এই ভিজিটররা আমাদের ওয়েবসাইটে এসে ঠিক কী করছেন, কোন পণ্যটি বেশি পছন্দ করছে এবং কোন বয়সী ভোক্তা কোন পণ্য ক্রয় করছেন- এমন বিস্তারিত রিপোর্ট আমরা ফেসবুক পিক্সেলের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। এর সাহায্যে ভবিষ্যৎ ক্যাম্পেইনের জন্য টার্গেটেড অ্যাডও বানানো সম্ভব। আপনার অ্যাডের কর্মদক্ষতাও ফেইসবুক পিক্সেলের মাধ্যমে পরিমাপ করতে পারবেন। ইউজাররা কোনো কিছু কেনার পর এটা অটোমেটিক্যালি রিপোর্ট করে দিবে।