মোবাইলে ভিডিও এডিটিং | Top 10 Android Mobile Video Editing Software Download

Top 10 Android Mobile Video Editing Software | Apps Download List

  মোবাইলে ভিডিও এডিটিং | Top 10 Android Mobile Video Editing Software Download 


মোবাইলে ভিডিও এডিটিং

আজকাল আমাদের স্মার্টফোনেই চটজলদি ভিডিও এডিট করা যায়! ডেস্কটপের জন্য অনেক ভালো ভালো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার থাকলেও এন্ড্রয়েড ফোনের প্লে স্টোরে গেলে দেখা যাবে স্মার্টফোনের জন্য ভিডিও এডিটিং অ্যাপের কোনো কমতি নেই!


১. FilmoraGo:

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করতে চাইলে তোমাকে সাহায্য করতে পারে FilmoraGo, এখানে আছে ভিডিও ট্রিম, কাট, থিমযুক্ত করা, সাউন্ড ট্র‍্যাক এড করার সুবিধা। পাশাপাশি নিজের সুবিধামত ফ্রেমিংও করা যাবে৷ তুমি চাইলেই ইন্সটাগ্রামের জন্য ১:১ আর ইউটিউবের জন্য ১৬:৯ ফ্রেমের ভিডিও বানাতে পারো। এছাড়াও এই অ্যাপসের মাধ্যমে তুমি রিভার্স ভিডিও বানাতে পারবে, ট্রানজিশন এড করতে পারবে, টেক্সট যুক্ত করতে পারবে, এমনকি স্লো মোশন ভিডিও-ও বানাতে পারবে খুব সহজেই!


২. Adobe Premiere Clip:

এডোবির সব সফটওয়্যারগুলো আমরা সাধারণত ডেস্কটপে ব্যবহার করতে অভ্যস্ত। তবে স্মার্টফোনেও এডোবি প্রিমিয়ার ক্লিপ ইন্সটল করে ব্যবহার করতে পারবে৷ যদিও তা একটু বেশিই জায়গা দখল করে এবং মাঝে মাঝে ফোন হ্যাং হয়ে যায়। Adobe Premiere Clip এর বেস্ট ফিচার হচ্ছে এর অটোমেটিক ভিডিও ক্রিয়েশন ক্যাপাবিলিটি! এই অ্যাপ ব্যবহার করার সময় কোনো এডও দেখানো হয় না। ভিডিও কাট করা, ট্রিম করা, ট্রানজিশন থেকে শুরু করে অডিও, টেক্সট, ফিল্টার, এফেক্ট ইত্যাদি যোগ করা যায় এই অ্যাপটিতে।


৩. Video Show:

এই অ্যাপটিকে বলা যায় ‘মোস্ট ট্যালেন্টেড অ্যাপ’! কেননা Video Show কিন্তু অনেকগুলো এওয়ার্ড পেয়েছে! তাই অনেকেই একে বেস্ট মোবাইল ভিডিও এডিটিং অ্যাপ হিসেবে চেনে। এর মাধ্যমে খুব সহজেই ভিডিও এডিট করা যায়, টেক্সট, এফেক্ট, সাউন্ড যুক্ত করা যায়, ডাব করা যায়। Video Show’তে তুমি পাবে কয়েক রকমের থিম। এছাড়া, কম্প্রেস করার মাধ্যমে ভিডিও’র সাইজ কমাতে ও বাড়াতেও পারবে!


৪. Power director Video Editor:

এই অ্যাপটি বেশ কার্যকর হলেও, টুলগুলোকে কন্ট্রোলে আনার জন্য একটু সময় লাগবে৷ কিন্তু একবার টুলস সম্পর্কে এক্সপার্ট হয়ে গেলে একদম প্রফেশনাল ভিডিও এডিটরদের মতন তুমি ভিডিও এডিট করা শুরু করে দিতে পারবে! আর সেটাও কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই! এখানে ৩০+ বিভিন্ন এফেক্ট ও ট্রানজিশন এফেক্ট আছে। এই অ্যাপের বেশিরভাগ ফিচারই ফ্রি। তবে আপগ্রেড করলে ওয়াটার মার্ক ও এড রিমুভ করার সুযোগ রয়েছে। ভিডিও 1080 ও 4K রেজুলেশনে এক্সট্র‍্যাক্ট করার ব্যবস্থাও রয়েছে।


৫. Kine Master:

প্রোফেশনাল স্টাইলের ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার হিসেবে এটি বেশ পরিচিত। এই অ্যাপটির ডিজাইন বেশ ভালো, সেই সাথে রয়েছে এর বেশ কিছু পাওয়ারফুল ফিচার! Drag-n-drop টেকনিকের মাধ্যমে বিভিন্ন মিডিয়াতে ফাইল ইম্পোর্ট করা যায়। সেই সাথে রয়েছে সাবটাইটেল যুক্ত করার সুবিধাও! লেয়ারের পর লেয়ার যুক্ত করে টেক্সট, গ্রাফিক্স, ইমেজ এড করা, পাশাপাশি কালার এডজাস্ট করা, ব্রাইটনেস বাড়ানো কমানো, স্পিড, টিউনিং-সব ধরনের সুবিধা এখানে পাওয়া যাবে৷


৬. Quik:

ভিডিও স্মার্টলি এডিট করার জন্য এটি হলো আরো একটা মজাদার অ্যাপ! এটি বেশ ফাস্ট এবং ফ্রি! নিজের পছন্দমতো বেশ কিছু ছবি বা ভিডিও ক্লিপ সিলেক্ট করো, এরপর বানিয়ে ফেলো নিজের স্টোরি! এতে আছে অটোমেটিক ভিডিও ক্রিয়েশন ক্যাপাবিলিটি, সেই সাথে ক্রপিং, কুইকলি সিংক, টেক্সট সবকিছুই যুক্ত করা সম্ভব। এছাড়াও রয়েছে মিউজিকের অটো সিংকিং ব্যবস্থা৷ আর এই অ্যাপে কোনো প্রকার এডও দেখানো হয় না!

৭. Viva Video:

অনেক দৃষ্টিনন্দন ভিডিও এডিটিং ফিচার আছে Viva Video-তে! এটি এমনভাবে ডিজাইন করা, যাতে যেকোনো এন্ড্রয়েড ব্যবহাকারী এটি ইউজ করতে পারবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রো লেভেলের ভিডিও তৈরি করা যায়৷ ১০০ এর চেয়েও বেশি স্টিকার ও ফিল্টার পাবে এইখানে! শুধু তাই না, এর মধ্যে রয়েছে এনিমেটেড ক্লিপ ও সাবটাইটেল যুক্ত করার হরেক রকম ডিজাইন! এই অ্যাপে আছে স্লো মোশন ভিডিও মেকার এবং স্লাইড শো মেকারও! অন্যান্য ভিডিও এডিটিং অ্যাপগুলোর মতন এখানেও আছে কাটিং, ভিডিও পোস্টিং, ক্রপিং, মার্জিং ক্লিপিংসহ আরো অনেক ফিচার!


৮. Lapselt:

Lapselt এর মাধ্যমে টাইম ল্যাপস ভিডিও খুব সহজেই বানানো যায়। সেই সাথে এক ক্লিকেই এটি শেয়ার করা যাবে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতেও! এছাড়াও রয়েছে হরেক রকম অডিও ট্র‍্যাক, এফেক্ট ও ফিল্টার! অ্যাপটি প্লে স্টোরে বিনামূল্যেই পাওয়া যাবে৷


৯. Cute Cut:

ইন্সটাগ্রামে ভিডিও কিংবা স্টোরি আপলোড দেওয়ার জন্য আরেকটি ভিডিও এডিটিং অ্যাপ হলো এই Cute Cut! ভিডিওর মধ্যে চাইলে ছবিও আঁকতে পারবে, এছাড়া নিজের ড্রয়িং, নানানরকম শেপ, টেক্সটও যুক্ত করতে পারবে৷ Cute Cut বিনামূল্যেই প্লে স্টোর থেকে নামাতে পারবে।



১০. InShot App:

সাধারণত ছবি এডিট করার জন্য এই অ্যাপ ব্যবহার করা হলেও, ভিডিও এডিটিংয়ের জন্যেও InShot বেশ উপকারি একটি অ্যাপ। ব্যবহার করা বেশ সোজা৷ ভয়েস ওভার, মিউজিক, ন্যারেশন, ইমোজি, ওভারলে-সহ আরো হরেক রকম সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে এখানে!


ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব 

প্রফেশনালদের মতো কিভাবে ভিডিও এডিটিং করা যায়, তা নিয়েই এখন বলবো। ইন্টারনেটে তুমি অনেক ভিডিও এডিটিং কোর্স তুমি খুঁজে পাবে, যার কয়েকটি তুমি ফ্রিতে পেলেও, বেশ কিছু কোর্স তোমাকে কিনে নিতে হবে। এমন কিছু কোর্সের কথাই বলবো এখন। তবে আগেই বলে রাখি, এখানে উল্ল্যেখ করা সবগুলো কোর্সই পেইড কোর্স, অর্থাৎ তোমাকে পয়সা খরচ করে এগুলো কিনতে হবে।



About the author

Daud
Hey! I'm Daud, Currently Working in IT Company BD. I always like to learn something new and teach others.

Post a Comment

To avoid SPAM, all comments will be moderated before being displayed.
Don't share any personal or sensitive information.