ডেঙ্গু জ্বরের রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এবং কত দিন থাকে?

ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে : ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা | ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা | ডেঙ্গু মশা চেনার উপায় | ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে | ডেঙ্গু রোগ
Dengue fever Home Treatmnet
Dengue fever Home Treatmnet

ডেঙ্গু রোগ:

ডেঙ্গু রোগ বর্তমানে প্রচলিত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা। পরিমিত খাবার খেয়ে,ঠিকমতো ঘুমিয়ে, সাস্থকর জীবনযাপন করেও আমরা হটাৎ ডেঙ্গু একারন্ত হয়ে পড়ি। এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা ডেঙ্গু রোগের কারণ, প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করব।

ডেঙ্গু রোগের কারণ:

ডেঙ্গু রোগের মূল কারণ হলো ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণ। এই ভাইরাস মূলত জমেথাকা হালকা ময়লা পানি থেকে জন্ম দেয়া একপ্রকার ক্ষতিকারক বিশক্ত মশা। এই মশা গুলো যখন একজন মানুষ কে কমাওন দায় তখন তার ভিতরের বিশক্ত জিহ্বায় মানুষের দেহে খুব দ্রুত চলমান  হয়ে যায়,ডেঙ্গুর এমন অনেক সিমটম আছে যা মানুষকে জীবন শেষ করে ফেলার জন্য যথেষ্ঠ।

ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ:

ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধে সাধারণভাবে একাধিক উপায় অনুসরণ করা উচিত:

  • বাসর আসে পাশে পড়ে থাকা পাত্র, ফুলের টবে টায়ারের ভিতরে ফ্রিজ এবং রেফ্রিজারেটরের থেকে বের হওয়া প্রয়োজনীয় পানি জমে থাকা বাথরুমে জমে থাকা পানি থেকে ডেঙ্গু জন্মগ্রহণ করতে পারো। তাই ডেঙ্গুর জন্ম হওয়ার উৎসগুলোকে নষ্ট করে ফেলতে হবে। আমাদের চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

  •  ডেঙ্গু মশা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সব সময় মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে।

  • একটা কথা মনে রাখবেন ডেঙ্গু মাসের সব সময় দিনের বেলা অর্থাৎ বিকেল সময় আমরা তাই দিনের বেলায় ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য যথেষ্ট সচেতন থাকবেন।
  • ডেঙ্গু মশার রাতে কামড়ায় না তাই রাতের থেকে দিনকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে ডেঙ্গু রোগ থেকে মুক্ত থাকুন।
  • এবং ডক্টর পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গু টেস্ট করে রিপোর্ট দেখে শিওর হয়নি আপনার ডেঙ্গু হয়েছে কিনা এবং হলে আপনার সিমটম কিংবা কতটা গুরুতর।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলি:

ডেঙ্গু জ্বরের প্রমুখ লক্ষণ মধ্যে ব্যক্তির কাঁধে ব্যথা, মাংসপেশীর প্রলম্ব ব্যথা, শরীরের প্রায় সব জায়গায় ব্যথা, মাঝে মাঝে বিশেষ করে পায়ের ব্যথা এবং চোখে লাল চাকা থাকতে পারে। অন্য লক্ষণগুলি হতে পারে:

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণগুলি নিম্নলিখিত:

  • বমি এবং পাতলা পায়খানা: ডেঙ্গু রোগে সাধারণভাবে বমি এবং পাতলা পায়খানা অনুভব করা হয়।
  • জ্বর: ডেঙ্গু রোগের প্রথম লক্ষণ হলো অনেকটা মৃদু জ্বর, যা অক্সিবিলিস করতে পারে। এটি তাপমাত্রা উচ্চ করতে পারে।
  • শরীরে মাসপেশির ব্যথা: ডেঙ্গু রোগে অনেক সময় শরীরে মাসপেশির ব্যথা অনুভব করা হয়, যা অক্সিবিলিস হতে পারে
  •  মুখের প্রান্তে লালচে: ডেঙ্গু রোগের একটি চিহ্ন হলো মুখের প্রান্তে লালচে। মুখোষ্ঠ সম্পৃক্ত এই লালচ চিহ্ন প্রবল হতে পারে
  • চোখের পুল্লিং: ডেঙ্গু রোগে চোখের পুল্লিং বা লালচে অনেকটা ধানসাগরের মতো দেখতে পারে

  • স্বাস্থ্যের অবস্থা দ্রুত অবশ্যই হালকা থেকে দুর্বল হয়ে যাবে এবং প্রস্রাব হলুদ হবে।
  •  আপনার ত্বকে বিভিন্ন জায়গায় লালচে আকার ধারণ করবে এবং বেশি গুরুতর অবস্থা হলে লালচে জায়গা থেকে রক্ত বের হবে।
  •  প্রচুর পেট ব্যথা প্রধানত পেটের নিচের অংশে প্রচুর পরিমাণে ব্যথার অনুভব করবেন।

  • প্রচুর পরিমাণে মাথাব্যথা এবং ক্লান্তি অনুভব করবেন যা সহ্য করার মতো শক্তি সবার থাকে না।

  • খাবারের রুচি হারিয়ে ফেলবেন কোন কিছুই আপনার মুখে ভালো লাগবে না।

যদি আপনি এই লক্ষণগুলি অনুভব করেন থাকলে আপনি দ্রুত অভিজ্ঞ ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী চেকআপ করুন,  তবে এই সিমটম গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি থাকলেই, দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।  ডেঙ্গু রোগের সত্যিকারের পরিষ্কার বিচার জন্য ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হতে পারে। সতর্ক থাকা এবং প্রতিরোধ করার জন্য উপযুক্ত পরামর্শ প্রয়োজন।

ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে:

  • সংক্রামক রোগ, যা সাধারণভাবে ৩-১৪ দিনের জন্য থাকতে পারে। অধিকাংশ মামুলীদের জন্য, জ্বর প্রথম সাত দিনের মধ্যে স্বয়ংস্ফূর্তভাবে গুড়িয়ে যায় এবং তিনতারিখের মধ্যে স্বয়ংস্ফূর্তভাবে কমে হয়ে যায়।
  • ডেঙ্গু জ্বর বেশি সময় ধরে থাকে না । হটাৎ ১০০  জ্বর আসলো আবার ১ ঘণ্টা পর কমে গেলো । কিন্তু প্রুচুর করিমানে মাথা ব্যাথা পেট ব্যাথা হবে ।
  • প্রথম সাত দিনে ডেঙ্গু জ্বর শক্তিশালী থাকতে পারে, তবে এরপর অবসান হয়ে যায়। 
  • ডেঙ্গু জ্বর হলে সবথেকে বেশি দরকার সেফটি হিসেবে মশারী ব্যাবহার করা।

ডেঙ্গু হলে করণীয়:

ডেঙ্গু রোগে আপনি নিম্নলিখিত করণীয় অনুসরণ করতে পারেন:

  •  চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করুন: যত দ্রুত সম্ভব একটি ডেঙ্গু জ্বরের সনাক্তকরণ করুন দ্রুত আপনার স্থানীয় চিকিৎসকে দেখানো উচিত। চিকিৎসক সম্পর্কে পূর্ণ তথ্য প্রদান করুন এবং   চিকিৎসা করুন।
  • প্রচুর পরিমাণে ফল এবং তরল জাতীয় খাবার খাবেন।
  • সবসময় মশারী টানিয়ে থাকবেন। যাতে মশা কামরতে না পারে।
  • প্রুচুর পরিমাণে পানি খবেন
  • ঔষধ নির্ধারণ করার জন্য চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন: আপনি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে, আপনার চিকিৎসক যেভাবে  ঔষধ নিয়ম বলবে তা মেনে ঔষধ সেবন করুন।

সতর্ক থাকার জন্য এই পরামর্শগুলি মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ডেঙ্গু রোগ গম্ভীর হতে পারে।

Related Posts

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে:

ডেঙ্গু জ্বরে আপনার খাবারের খেতে কিছু সাবধানতা অনুসরণ করা উচিত, কারণ এই সময়ে শরীরে শক্তির অভাব হতে পারে এবং ডেহাইড্রেশনের ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই, আপনি নিম্নলিখিত খাবার করার চেষ্টা করতে পারেন:

  •  পানি: ডেঙ্গু জ্বরে ব্যবধান দেখে সম্ভবত প্রস্রাবে কমিয়ে যাবেন। তাই, প্রতিদিন প্রয়োজনে প্রয়োজনে যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
  • জুস, তরল পানীয় 
  •  ফল, ফেলে আনারস,তরমুজ, ডাব 

সতর্তা অনুসরণ করা ডেঙ্গু জ্বরে শরীরের প্রয়োজন পূরণ করতে পারেন। আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ অনুভব করেন, তবে তা দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে?

ডেঙ্গু জ্বরে গোসল করার সময় কিছু সতর্কতা অনুসরণ করা উচিত কারণ ডেঙ্গু রোগ ক্ষতিকর হতে পারে।

আপনি নিম্নলিখিত সতর্কতা অনুসরণ করে গোসল করতে পারেন:

  • একটি বাড়ির যেকোনো সময়: যখন আপনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হবেন, তখন অন্তর্ভুক্ত অক্সিবিলিসের প্রস্তুতি অনুসরণ করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় সময়ে গোসল করু
  • আপনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে, প্রস্তুতি সামগ্রী অনুসরণ করতে এবং সতর্কতা অনুসরণ করতে পারেন, যাতে এটি আপনার স্বাস্থ্য ও সমগ্র স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হয়। 

ডেঙ্গু মশা চেনার উপায়:

ডেঙ্গু মশা চেনার উপায় মসলা বিদারণ করার জন্য প্রয়োজনীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। ডেঙ্গু মশা সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য আপনি নিম্নলিখিত কার্যক্রমগুলি মেনে চলতে পারেন:

  • পর্যাপ্ত বাসার পরিবেশ: ডেঙ্গু মশা সাধারণভাবে পানির সমীপে এবং উপকূলে থাকে। 
  • পানির স্থানে পরিস্কার করা: বাড়ির প্রায় প্রতিটি প্রান্তে অপ্রয়জনিওvপানি জমা হতে পারে, যা ডেঙ্গু মশা বেড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। প্রতিটি অপ্রয়জনিও পানির স্থান পরিস্কার করুন।
  • ফুলের টব এর মধ্যে জমে থাকা পানি পরিস্কার রাখুন।
  • বাথরুমে জমানো পানি পরিষ্কার করুন।

ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা:

ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা একটি সহজ প্রক্রিয়া, এবং এটি ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারলেই হবে। ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা সাধারণভাবে নিম্নলিখিত প্রক্রিয়াগুলি উল্লেখ করে:

  • প্রাথমিক চিকিৎসা: যখন কাউকে ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ দেখা যায়, সরাসরি একটি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
  • ডেঙ্গু পরীক্ষা: যখন ডেঙ্গু রোগের সনাক্তকরণ হয়, চিকিৎসক সাধারণভাবে একটি ডেঙ্গু পরীক্ষা করেন। এই পরীক্ষা ডেঙ্গু ভাইরাসের উপস্থিতি সনাক্ত করতে সাহায্য করে।
  • প্রতিরোধ: ডেঙ্গু প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়। মশারী টানিয়ে থাকতে হবে ইত্যাদি

ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য এই চিকিৎসা প্রক্রিয়াগুলি মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ অনুভব করেন, তাহলে নিয়ম গুলো মেনে চলা দরকার।


ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা:

ডেঙ্গু রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা,এটি সাধারণভাবে ঘরে সেবা প্রদান করা কঠিন । ডেঙ্গু রোগের সনাক্তকরণ হলে সরাসরি চিকিৎসা কাছে হস্তান্তর করা দরকার।ডেঙ্গু সনাক্ত হলে যদি আইসিইউ তে রাখার প্রয়জন হয় তাইলে সেখানে রাখতে হবে নাইলেবাসায় যেতে পারবে। এবং উপরের উল্লেখিত খাবার গুলো খেতে হবে বেশি পরিমাণে এবং রেস্ট নিতে হবে।

ডেঙ্গু রোগের ক্ষেত্রে, বাড়িতে চিকিৎসা প্রয়োজনের ক্ষেত্রে সবসময় স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে যাওয়া প্রয়োজন। ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ অনুভব করলে, অতি দ্রুত চিকিৎসা প্রাপ্ত করার জন্য ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা সেন্টারে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

সমাপ্তিতে:

ডেঙ্গু জ্বর বা ডেঙ্গি ফিভার একটি সমস্যা যা তাৎক্ষণিক সাময়িক চিকিৎসা এবং যত্ন দ্বারা সহজে হ্যান্ডল করা যায়। সার্বিক যত্ন এবং সাময়িক চিকিৎসা সঙ্গে যোগ করে, ডেঙ্গু জ্বর সাম্প্তির উপায় বৃদ্ধি পায় এবং ব্যক্তি স্বাস্থ্যসেবার সাথে সংযোজিত থাকে।

About the author

Daud
Hey! I'm Daud, Currently Working in IT Company BD. I always like to learn something new and teach others.

Post a Comment

To avoid SPAM, all comments will be moderated before being displayed.
Don't share any personal or sensitive information.