পরকীয়া কি ( Extra Marital Affair) নারীরা পরকীয়া কেন করেপরকীয়া (Extramarital sex) : |
নারীরা পরকীয়া কেন করে তার বিভিন্ন কারণের মধ্য বিশেষ ৭টি বাস্তব কারন নিচে উল্লেখ করা হলো-
আমাদের সমাজের অধিকাংশ নারী নিঃসঙ্গতায় ভুগে থাকেন। বিয়ের পর অধিকাংশ নারীই স্বামীর সঙ্গ তেমন একটা পান না। সারাদিন নানান কাজে ব্যস্ত স্বামী দিনের শেষে এসে থাকেন খুব ক্লান্ত, দৈনন্দিন কাজের চাপে হারিয়ে যায় রোমান্স।
আর তাই একাকিত্বে ভোগেন অধিকাংশ নারী। এছাড়াও সন্তানরা কিছুটা বড় হয়ে গেলে সন্তানের সঙ্গটাও আর পাওয়া হয়না তেমন করে। তাই এই সময়ে একাকিত্ব দূর করার জন্য এবং জীবনে নতুন বৈচিত্র্যের আশায় অনেক নারীই পরকীয়ার দিকে ঝুঁকে পড়েন।
নারীরা পরকীয়া কেন করে:
১.বাল্যবিবাহঃ বাল্য বিবাহ নারীদের পরকীয়া করার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ কারণ হয়ে থাকে। যে মেয়েটার ষোল বছর যেতেই বয়সেই বিয়ে দেওয়া হয়, তিনি ত্রিশ কোটায় গিয়ে ফেলে আসা দিনগুলোকে ফিরে পেতে চান। তখন হয়ত তার স্বামীর বয়স অনেক হয়ে যায়। যার ফলে পরকিয়া সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে টা পূরণ করার চেষ্টা করেন।
২.অনিচ্ছাকৃত বিয়েঃ বাড়ি এবং সমাজের চাপে অনেকেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও বিয়ে করতে বাধ্য হন। কিছু দিন না যেতেই সংসারে টানাপুড়ন শুরু হয়ে যায়। টনক নড়ে বসে মেয়েটির, বুঝতে পারেন কী ভুলটাই না তিনি করেছেন। তখনই শুরু হয় পরকীয়া সম্পর্কের।
৩.শারীরিক চাহিদাঃ নারীরা পরকীয়া কেন করে তার অন্যতম প্রধান কারণ এটিই। স্বামী যদি স্ত্রীকে যৌন তৃপ্তি দিতে না পারেন সে ক্ষেত্রে বেশির ভাগ মেয়েরা অন্য পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থাকেন।
৪.আবেগের অভাবঃ সময়ের অভাব থেকে কমিউনিকেশন গ্যাপ তৈরি হয়। যার ফলে স্বামীর প্রতি আবেগ কমতে থাকে। এই সময়ে এক জন ভাল বন্ধু দরকার হয়ে পড়ে অনেক নারীরই। ফলে সে পরকীয়ার মাধ্যমে তা করে থাকে।
৫.ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিঃ দুটো আলাদা মানুষ, জীবনটাকে আলাদা ভাবে দেখবে— এটাই তো স্বাভাবিক। সেটা না জেনেই হুট করে বিয়েটা সেরে ফেলেন। দু’জনের দৃষ্টিভঙ্গির এই পার্থক্য সময়ের সঙ্গে দু’জনের কাছেই পরিষ্কার হতে শুরু করে। স্বামী সেটা মানিয়ে নিতে না পারায় মেয়েরা অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
৬.অর্থঃ অর্থ বা টাকা-পয়সার জন্য অনেক মেয়েই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্ত মেয়েরা এই সম্পর্কে বেশি জড়ায়। কথায় আছে অর্থই অনিষ্ঠের মুল।
৭.স্বামী দূরে থাকাঃ বর্তমানে স্ত্রীকে রেখে অনেক স্বামীকেই অর্থ উপার্জনের জন্য দূরে থাকতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে দূরে থাকার ফলে তার শারিরীক ও মানসিক সুখ থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়। এ সময় কালে মেয়েরা সঙ্গ পেতে অন্য পুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।
এই অবস্থা সামাজিক মর্যাদার এবং মূল্যবোধের সাথে সংক্রান্ত সময় থেকে বেশি বিষয়টি দ্বিধা তৈরি করে এবং অধিকাংশ সমাজে এটি অস্বীকৃতি ও নিন্দা উত্সর্গ করে।