আসসালামু আলাইকুম দাউদ বিডি ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আজকের আলোচনার বিষয় মানসিক রোগে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা
মানসিক রোগে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা
মানব সভ্যতার সবচেয়ে পুরাতন রোগ মানসিক রোগ ।সভ্যতার বিভিন্ন স্তরে বিভিন্নভাবে মানসিক রোগকে চিহ্নিত করা হয়েছে ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী , তৃতীয় বিশ্ব ও অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশের জনসংখ্যার শতকরা ১ ভাগ জটিল মানসিক রোগ ও শতকরা ১০ ভাগ অন্যান্য মানসিক রোগের শিকার। শতকরা ৩০ ভাগের যে কোন সময় মানসিক রোগ হতে পারে । মজার বিষয় হচ্ছে , শারিরিক চিকিৎসার জন্য যেসব রোগী বিভিন্ন হাসপাতেলে যান , তাঁদের মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ রোগী মানসিক সমস্যায় ভুগে থাকেন । আসলে তারা যে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন , তা বুঝতে না পেরে তাঁদের উপসর্গগুলো শারীরিকভাবে প্রকাশ করছেন । যেমন – মাথাব্যথা , শরীরে ব্যথা, শরীর দুর্বলতা ইত্যাদি ।বলা হয়, “মনে আঘাত লাগলে শরীরও কাঁদে”। যখন মনে কোনো অস্থির অবস্থার উৎপত্তি হয়, তখন তার বিভিন্ন শারীরিক লক্ষণ প্রকাশ পায়।
এক সমীক্ষায় বলে, আমেরিকায় প্রায় ৫৪ মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ বিভিন্ন প্রকার মানসিক সমস্যায় ভুগছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের দেশেও দিনকে দিন মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। কিন্তু যে হারে বাড়ছে মানসিক রোগী, সে হারে নেই সচেতনতা। কাউকে মানসিক সাহায্য নিতে বললে প্রথমেই যে প্রতিবাদটি আসে তা হলো, “আমি কি পাগল?” এই কথাটি একই সাথে মানসিক রোগ বিষয়ে অজ্ঞতা ও অসহনশীলতার পরিচায়ক।
মানসিক অসুস্থতার মানেই ‘পাগলামি’ না। আমাদের চারপাশে এমন অগণিত মানসিক রোগী ঘুরে বেড়াচ্ছে যারা বাইরে যথেষ্ট সুস্থ, স্বাভাবিক, যারা আপনার সাথে এক টেবিলে বসে চা পান করবে, রাজনীতি বা সমাজব্যবস্থা নিয়ে সুগভীর আলোচনা করবে, আপনি ঘুণাক্ষরেও টের পাবেন না তার ভেতরের অস্থিরতার। বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে অকস্মাৎ এদের অসুস্থ সত্ত্বাটি বাইরে বেরিয়ে আসে। অনেক সময় অসুস্থতার শিকার এই ব্যক্তিরা পারস্পরিক ব্যক্তিগত ও সামাজিক সম্পর্কগুলো নষ্টের পেছনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এতে তাদের দোষ দেয়া যায় না। তারা নেহাৎ অসুস্থ, শারীরিক অসুস্থদের মতো তাদেরও প্রয়োজন স্বাস্থ্যগত সাহায্য।
বিজ্ঞানীরা প্রায় ২০০ রকমেরও বেশি মানসিক অসুস্থতা শ্রেণিবদ্ধ করেছেন। বিভিন্ন মানসিক রোগের পেছনে মূল কারণ থাকে পরিস্থিতিগত চাপ, জেনেটিক ফ্যাক্টর, জৈব রাসায়নিক পদার্থের ভারসাম্যহীনতা অথবা এর সবগুলোই। খুব সাধারণ ও পরিচিত কিছু মানসিক সমস্যার মধ্যে রয়েছে উদ্বিগ্নতা, বিষণ্ণতা, ডিমেনশিয়া, বাইপোলার ডিজঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া ইত্যাদি। এসবের লক্ষণ হিসেবে মেজাজ, ব্যক্তিত্ব, অভ্যাস ও সামাজিক ব্যবহারের পরিবর্তন বা তারতম্য। যেকোনো মানসিক সমস্যার মোকাবেলা করতে হলে আগে দরকার সমস্যার স্বীকৃতি দেয়া। তারও আগে প্রয়োজন সমস্যার লক্ষণগুলো চিহ্নিত করা।
মানসিক রোগ কাকে বলে?
আমরা জীবনের কোনো না কোনো সময় বিভিন্ন কারনে ভাবাবেগে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ি। কখনো বা দুঃখ পাই, কখনো বা রাগ প্রকাশ করি। এই উপসর্গগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় না এবং আমরা স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিশেষ কোনো বাধার সৃষ্টি করে না। ফলে এগুলোকে আমরা মানসিক রোগ বলি না ।
১) যদি কারো চিন্তার পরিবর্তন , আবেগের পরিবর্তন, স্মৃতিশক্তির পরিবর্তন, বিচার বিবেচনা বা বোঝার পরিবর্তন হয় এবং তা তার কথাবার্তা বা আচার আচরণে প্রকাশ পায় তাহলে তাঁকে মানসিক রোগে আক্রান্ত বলে মনে করা হয়।
২) তাঁদের ব্যবহারিক পরিবর্তন, তাতে যদি আশেপাশের লোক কষ্ট পায় বা আক্রান্ত ব্যক্তি নিজে কষ্ট পায়।
৩) তার আচার-আচারনের পরিবর্তনের ফলে যদি তার দৈনন্দিন কাজ কর্মের ব্যাঘাত ঘটে, কাজের ক্ষেত্রে অনিয়ম হয়। আহার নিদ্রার পরিবর্তন হয়।লোকজনের সাথে মেলামেশায় ব্যাঘাত ঘটায় অর্থাৎ এক কথায় সামাজিক ও পেশাগত ক্ষতিসাধন করে তবে তাঁকে মানসিক রোগের লক্ষন বলে ধরা হয়।
মানসিক রোগের লক্ষণসমূহ
মানসিক রোগের লক্ষন কোনোরূপ প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা বা এক্স-রে করে এটিকে ধরা যায় না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীর আচার- ব্যবহার ও রোগীর বর্ণিত বিভিন্ন উপসর্গ দ্বারা মানসিক রোগকে চিহ্নিত করতে পারেন। যে চিকিৎসক যত বেশি অভিজ্ঞ তিনি সহজে সঠিকভাবে রোগটি নির্নয় করতে পারেন । নিচে কতগুলো উপসর্গের বর্ণনা দেওয়া হলো।
আমরা মানসিক রোগ নির্ধারন করি রোগীর ব্যবহার, আচার – আচরন দেখে। কিন্তু রোগীর শারীরিক পরীক্ষা- নিরীক্ষাসহ বিভিন্ন ধরনের ল্যাবরেটরি পরীক্ষাও আমাদের করে নিতে হয় । তবে তার পরিমান যৎসামান্য ।
মানসিক রোগের উপসর্গের কথা নিন্মে দেওয়া হলোঃ
অতি উত্তেজনা, অতিরিক্ত রাগ, অত্যাধিক আত্মপ্রত্যয়, চঞ্চলতা, অন্তঃদৃষ্টি খুলে যাওয়া, প্রলাপ বকা, জিনিসপত্র ভেঙে ফেলা, বিক্ষুদ্ধ বা আক্রামণাত্মক আচরণ, ঘন ঘন কথা বলা, অল্প কথায় উত্তর দেওয়া , অনিয়মিত আহার, অনিদ্রা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নদ না থাকা, জীবনবোধ সম্বন্ধে হতাশা, অকারনে হাসা, অকারণে হাসা, অনর্থক বিড় বিড় করে কথা বলা, এলোমেলো কথা বলা, লাইন ছাড়া কথা বলা, কথার খেই হারিয়ে ফেলা।
সর্বক্ষণ বিষন্ন থাকা, কোনো কিছু ভালো না লাগা, অস্থিরতা, অতিরিক্ত ধীর হয়ে যাওয়া, অনিদ্রা, আরুচি, কাজে মন না বসা, ফটফট করা, শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে জ্বালাপোড়া, মাথাব্যথা, অসহায়বোধ, হতাশাবোধ, আত্মনির্ভরশীহীনতা, নিজেকে ছোট ভাবা , ঘন ঘন প্রসাব করা, ওজন করে যাওয়া, আত্মহত্যার চিন্তা করা।, বুক ধড়ফড় করা, দম বন্ধ হওয়া, বুকে ব্যথা, গলা শুকিয়ে যাওয়া, ঘন ঘন ঢোক গেলা, ঢোক গিলতে কষ্ট হওয়া,মাথার চারদিকে চাপাবোধ হওয়া বা টেনশন করা,অরুচি,অকারনে ভীতি, মৃত্যুভীতি, ঢেঁকুর তোলা, হাত-পা কাঁপা,ঠিকমতো ঘুম না হওয়া, অতিচিন্তা, পড়াশোনায় অমনোযোগিতা, পড়া মনে না থাকা, খেলেই পায়খানার বেগ হওয়া।
যৌনভীতি, পুরুষাঙ্গ সম্বন্ধে হতাশা, হীনবোধ ,যৌন জীবনে অক্ষম মনে করা, অশান্তিময় যৌনমিলন, স্ত্রী অঙ্গে ব্যথা, তলপেটে, পেটে বা কোমরে ব্যথা,লিঙ্গের মাথায় টিক টিক করা, লিঙ্গ সম্বন্ধে অযথা চিন্তা করা, যৌনাঙ্গ ছোট বা কম জোর মনে করা,বিবাহভীতি, যৌনমিলনে স্ত্রী বা স্বামীর অনিচ্ছা।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন মত বদলানো, বিশ্বাসহীনতা,সন্দেহমূলক দৃষীপাত, সন্দেহ করা, বাতিকগ্রস্ততা,উগ্রতা,ভুল বকা,স্মরণশক্তি কমে যাওয়া,লোক চিনতে ভুল করা,সামঞ্জস্যহীন কথা বলা, মনের কথা প্রকাশ হয়ে পড়া,নিজের সাথে নিজে কথা বলা, গ্যেবি আওয়াজ শোনা,ক্লান্তি,একঘেয়েমি,অদৃশ্য শত্রুভীতি , গায়েবি নির্দেশ পাওয়া,অদৃশ্য শব্দ, আদেশ-নির্দেশ শোনা, শয়তান, ফেরেশতা, আল্লাহরর সাথে কথা বলা। সংসারের প্রতি অনীহা।
ছেলে-মেয়ে, স্বামী- স্ত্রীর প্রতি বিরক্তি, অনীহাভাব , নিজেকে দোষি ভাবা, নিজের জন্যে অন্যের কষ্ট হচ্ছে মনে করা, অস্থিরতা, খাদ্য হজম না হওয়া, ফাঁসি দিতে ইচ্ছা করে, ঢেঁকুর ওঠা, আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করে, হঠাত উত্তেজিত হওয়া, শরীর গরম লাগা, ঘুরানো, শরীর দুর্বল, শরীর ঘামে জিভে যাওয়া, অন্যের জিনিশ নিতে ইচ্ছা করা।
শেষ রাতে ঘুম ভাংগা, কথা কম বলা, বিভিন্ন জিনিশ/ বস্তুর ভয় লাগে, বুকে চাপ দেয়, শুয়ে থাকতে ইচ্ছা করে, নার্ভাস লাগে , অল্প আওয়াজে বিরক্ত লাগে , রাস্তা দিয়ে হাঁটলে লোকজন তাকিয়ে থাকে এমন মনে হওয়া,লোকে অন্য কথা বললে মনে হয় আমাকে নিয়ে কথা বলছে, অশুচি লাগে , নোংরা লাগে, সেন্টিমেন্ট বেশি , খুঁত খুঁতে স্বভাব ।
বদমেজাজ,একগুয়ে, চঞ্চল, উচ্ছল, বহির্মুখী , ক্ষনে ভালো ক্ষনে মন্দ, স্মৃতিভ্রম, উদাসীন, আবেগপ্রবণ, ঘুম না হওয়া, বোকা প্রকৃতির, জ্ঞান বুদ্ধি কম, সাধারন কাজ শিখতে না পারা, ভালো – মন্দ জ্ঞানের অভাব, অল্পতেই খিচুনি হওয়া, প্রথম থেকে অবসাদ ভাব, বাড়ির ঠিকানা মনে করতে না পারা, কোথায় আছে , কী খেলো বলতে না পারা, লোকজন চিনিতে না পারা।
মানসিক রোগের প্রকারভেদ
প্রকোপ অনুসারে মানসিক রোগকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
১) একটি গুরু বা জটিল
২) অপরটি লঘু বা মৃদু
গুরু ব্যাধিগুলোকে সাইকোসিস এবং লঘু ব্যাধিগুলোকে নিউরোসিস বলা হয়।
নিউরোসিস রোগে রোগীর নিজের কষ্ট বেশি হয় এবং তার রোগ সম্পর্কে জ্ঞান থাকে । গুরু ব্যাধিগুলোকে রোগীর কষ্টের পাশাপাশি তার আত্মীয়-স্বজন ও পরিবার পরিজনের কষ্ট বেশি হয় এবং রোগী যে মানসিক ব্যাধিতে ভুগছে তা সে অস্বীকার করে।
লঘু বা মৃদু মানসিক রোগ গুলো হলোঃ
1. টেনশন বা উদ্বেগ অধিক্য রোগ
2. হিষ্টিরিয়া
3. অবসেশন বা শুচিবায়ু
4. ফোবিয়া বা অহেতুক ভীতিরোগ
5. শরীর নিয়ে রোগ ( হাইপোকনড্রিয়াসিস)
6. ধাতুগত রোগ
গুরু বা জটিল মানসিক রোগঃ
1. সিজোফ্রেনিয়া
2. ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা রোগ
3. ম্যানিয়া
4. ম্যানিক ডিপ্রেসিভ রোগ
5. প্রসবোত্তর মানসিক ব্যাধি
এছাড়াও শিশু- কিশোরদের আলাদা কিছু মানসিক রোগ থাকে যেমনঃ
1. বিছানায় মল-মূত্র ত্যাগ রোগ
2. স্কুল পালানো/ স্কুল ভীতি
3. আচরন গত সমস্যা
4. চঞ্চলতা রোগ
5. খাদ্যগত রোগ- ক্ষুধামন্দ্য রোগ , রুচিহীনটা
অন্যান্য মানসিক রোগ সমুহঃ
1. মাদকাসক্ত
2. মৃগীরোগ ও মৃগীজনিত মানসিক রোগ
3. মানসিক প্রতিবন্ধী
মানসিক রোগের নাম
মানসিক রোগর নাম বিভিন্ন ডাক্তার বিভিন্ন ধরণের নাম দিয়ে থাকেন । এর প্রধান কারণ হলো মানসিক রোগ বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে । পৃথিবীতে প্রত্যকেটি মানুষ বিভিন্ন রকমের মানসিক রোগে আক্তান্ত হয়ে থাকে ।
মানসিক রোগের নাম গুলো হলোঃ
- বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার ,
- সাইকোসিস ডিজঅর্ডার ,
- বিষন্নতা ,
- হেলথ অ্যাংজাইটি ,
- অ্যাংজাইটি ,
- সাবস্টেন্স ,
- সিজোফ্রেনিয়া ,
- অ্যাবিউজ ,
- ওসিডি , ট্রমাটিক ,
- ট্রেস ডিজঅর্ডার ,
- প্যানিক অ্যাটাক ,
- কনভারশন ডিজঅর্ডার ,
- ফোবিয়া ,
- পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার ইত্যাদি ।
রোগ নির্নয়ঃ
রোগীর লক্ষন দেখে রোগ নির্নয় করতে হবে , কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করার প্রয়োজন হয় । যেমন একজন মানুষ তার শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসার পরে এই রোগটি আসলে শারীরিক কারনে নাকি মনোদৈহিক কারনে তা নির্নয় করতে হবে ( যৌন সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে বেশি হয়, সকল ক্ষেত্রে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার প্রয়োজন হয়না ) । যদি দেখা যায় তার শারীরিক কোনো সমস্যা নাই তখন এই সমস্যাকে সাইকোসোমাটিক সমস্যা হিসেবে নির্নয় করা যায়।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর লক্ষন ও উপসর্গ দেখে রোগ নির্নয় করা হয়।
ডঃ এম ইউ আহমেদ স্যারের রোগ নির্নয় ফরম ফলো করে রোগ নির্নয় করা যাবে ।
কিভাবে চিকিৎসা করতে হবেঃ
1. রোগীর বডি টাইপ নির্নয় করতে হবে ( বাতা, পিত্তা, কাফা )
2. বডি টাইপ অনুসারে ডায়েট / পথ্য সিলেক্ট করতে হবে।
3. পঞ্চকর্মের উপযুক্ত হলে পঞ্চকর্ম করতে হবে ( অভিজ্ঞ চিকিৎসক সিলেক্ট করবেন , কত সিটিং লাগবে)
4. বডি টাইপ অনুসারে সিঙ্গেল হার্বস সিলেক্ট করতে হবে ।
5. শারীরিক কষ্টকর লক্ষন দূর করার জন্য কম্পাউন্ড মেডিসিন সিলেক্ট করতে হবে।
6. প্রাশান্তিকর , এন্টি ডিপ্রেসিভ , এন্টি সাইকোটিক , এন্টি এংজাইটি হার্বস ব্যবহার করা ।
7. কাউন্সেলিং-এর প্রয়োজন হলে কাউন্সেলিং করতে হবে ( অভিজ্ঞ চিকিৎসক সিলেক্ট করবেন , কত সিটিং লাগবে)
8. সাইকোথেরাপি , রিলাক্সেশন , মেডিটেশন , অটোসাজেশন, হেটরোসাজেশন ,ফেমিলিথেরাপি , বিহেবিয়ার থেরাপি (CBT) সেক্স থেরাপি , মেডিস্টিক সাইকোথেরাপি ( ডঃ এম ইউ আহমেদ স্যার উদ্ভাবিত), ভিজুয়ালাইজেশন যার জন্য যা উপযোগী তার জন্য সেই পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
9. হালকা ব্যায়াম ,প্রনায়াম ,ইয়োগা করার পরামর্শ দিতে হবে ।
পরবর্তীতে প্রতিটা মানসিক রোগের কারন , লক্ষন ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করা হবে। ইনশাআল্লাহ।
মানসিক রোগের ঔষধের নাম
মানসিক রোগের ও বেশ কিছু ওষুধ রয়েছে তবে এগুলো সেবন না করে প্রাকৃতিক উপায়ে মানসিক রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উত্তম। এবং চেষ্টা করুন যেকোনো ধরনের সমস্যা হতে এবং তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করুন। মানসিক রোগের বেশ কিছু ওষুধ রয়েছে। নিচে তাদের তালিকা দেওয়া হলঃ
- Residon 2
- Residon 4
- Deprex 5
- Nexcital 10
- Oxapro 10
- Oxat 20
- Qupex 200
সর্তকতা :যেকোনো প্রকারের ওষুধ সেবনে পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
লেখক:
ডা: মো: ফাইজুল হক
২২ বছরের অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ,ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক, শিক্ষক ও লেখক। ইসলামিক স্কলার ।
মানসিক রোগের সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর
সবচেয়ে শক্তিশালী মানসিক ঔষধ কোনটি?
বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত রোগীদের জন্য 70% এর বেশি প্রতিক্রিয়ার হার সহ, এটির আবিষ্কারের সত্তর বছরেরও বেশি সময় পরে, লিথিয়াম সমস্ত মনোরোগবিদ্যায় সবচেয়ে কার্যকর ওষুধ হিসাবে রয়ে গেছে। ইউনিপোলার ডিপ্রেশনের চিকিৎসায়ও এর উপকারী প্রয়োগ রয়েছে।
আমি এত খিটখিটে কেন?
বিরক্তি শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে: বিষণ্নতা, বাইপোলার ডিসঅর্ডার এবং উদ্বেগ । পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD) ডিমেনশিয়া ।
মানসিক রোগের চিকিৎসায় কোন ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয়?
মানসিক ওষুধের প্রধান প্রকারগুলি হল: এন্টিডিপ্রেসেন্টস । অ্যান্টিসাইকোটিকস ঘুমের ওষুধ এবং ছোটখাটো ট্রানকুইলাইজার ।
মানসিক ঔষধ কয়টি?
পাঁচটি প্রধান ধরনের সাইকোট্রপিক ওষুধ রয়েছে: অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি ওষুধ, উদ্দীপক, অ্যান্টিসাইকোটিকস এবং মুড স্টেবিলাইজার
শেষকথা
আজকের আর্টিকেলে মানসিক রোগের বিষয়ে যাবতীয় কিছু আলোচনা করেছি মানসিক রোগের লক্ষণ. মানসিক রোগের নাম , মানসিক রোগের ওষুধের নাম
আজকের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনারা কোন উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই সকলের মাঝে শেয়ার করে অন্যদেরকেও উপকৃত করবেন, ধন্যবাদ |