পুরুষত্বহীনতা:
পুরুষত্বহীনতা হলো যৌনমিলনের পূর্বেই বীর্যপাত , লিঙ্গ নরম হয়ে যাওয়া বা উত্থান না হওয়া। শতকরা ১০ জন শারীরিক সমস্যার জন্য পুরুষত্বহীন হয়। যৌনাঙ্গে অস্ত্রোপচার, শারীরিক নানা রোগব্যাধি, হরমোনের ঘাটতি, ক্রনিক নানা অসুখ-বিসুখ, অ্যালকোহলের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার, অতিরিক্ত ওষুধ সেবন, নিম্নমানের খাদ্যাভ্যাস এবং নানা মানসিক কারণে পুরুষ তার পুরুষত্বহীনতায় উপনীত হয়। তবে ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে মানসিক কারণ পুরুষত্বহীনতার জন্য দায়ী। অনেক সময় শৈশবকালীন নানা স্মৃতির আঘাতে পুরুষত্বহীনতার সৃষ্টি হতে পারে।
বিভিন্ন কারণে এই লক্ষণ দেখা যেতে পারেঃ
- বিনাইন প্রস্টেটিক হাইপারপ্লেসিয়া, বি-পি-এইচ
- ভ্যারিকোসিল অফ দা টেস্টিকল
- ডায়াবেটিস জনিত কিডনির রোগ অণ্ডকোষে পানি জমা/হাইড্রোসিল
- লিঙ্গের উত্থানজনিত সমস্যা
- ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স/ দুগ্ধজাত খাবারের প্রতি অসহিষ্ণুতা
- প্রিয়াপিজম
- বিনাইন কিডনি সিস্ট
- ফাইমোসিস (Phimosis)
- প্রস্টেট ক্যান্সার (Prostate cancer)
- স্পারমাটোসিল (Spermatocele) অ্যাট্রোফি অফ দি করপাস ক্যাভারনোসাম (
- মেনিয়ার ডিজিজ (Meniere disease) মাল্টিপল মায়েলোমা
- ওভারফ্লো ইনকন্টিনেন্স
- ব্লাডার অবস্ট্রাকশন
- অ্যাটনিক ব্লাডার (Atonic bladder) সাইকোসেক্সুয়াল ডিজঅর্ডার(Psychosexual)
- মুত্র আটকে যাওয়া (Retention)
- ঘন ঘন মূত্রত্যাগ (Frequent urine)
- যৌনাকাঙ্খা কমে যাওয়া(Loss of sex)
- রাতে অতিরিক্ত মূত্রত্যাগ
- মুত্রের সাথে রক্ত যাওয়া (Blood urine)
- শুক্রাশয়ে ব্যথা হওয়া
- দ্রুত বীর্যপাতের সমস্যা
- অনৈচ্ছিক মূত্রত্যাগ
- প্রস্রাব কম হওয়া (Low urine output) ধূমপানজনিত সমস্যা (Smoking)
এ ছাড়াও নিম্নের বিষয়গুলো পুরুষত্বহীনতার জন্য দায়ী:
- এক বা একাধিক বছর ধরে সমকামিতায় লিপ্ত থাকলে পুরুষত্বহীনতা আসতে পারে।
- মায়েদের প্রতি অতিরিক্ত আবেগের জন্য নারীদের প্রতি শ্রদ্ধাভাব আসে, এর ফলে পুরুষত্বহীনহতার সৃষ্টি হতে পারে।
- পতিতার সাথে প্রথম যৌনমিলনের পর এর প্রতি এক ধরনের বিতৃষ্ণার ফলে।
- নারীর সাথে যৌনমিলন শুরুর কিছু পরেই বীর্যপাত এবং এর ফলে পুরুষের মনে অপারগতা প্রশ্নের উদ্ভব। যা পুরুষকে ভীত করে ফেলে। এক্ষেত্রে পারফরমেন্স অ্যাংজাইটি তৈরি হয় ফলে রোগীর লিঙ্গ উত্থান হয় না।
- ধূমপান/মাদকদ্রব্য/ মদপান। যা পুরুষত্বহীনতার জন্য ভীষণভাবে দায়ী।
- সাধারণত মা-বাবার কঠোর শাসন এবং ধর্মীয় নানা অনুশীলন মেনে চলার ফলে পুরুষত্বহীনতা আসতে পারে।
- স্বাস্থ্যসম্মত লাইফ স্টাইল / সুষম পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করা, বিভিন্ন ধরনের ক্রনিক ডিজিজ , শরীরের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণেও পুরুষত্বহীনতা তৈরি হয় । এসব সমস্যার ক্ষেত্রে অবশ্যই দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা এবং নানা থেরাপিতে পুরুষত্বহীনতা কাটানো সম্ভব। .
প্রতিরোধ
- রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, বা বিষণ্নতা পরিচালনা করার জন্য ওষুধ খান।
- ওষুধ পরিবর্তন করার বিষয়ে আপনার ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করুন।
- একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা.
- স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
- আপনি যদি ধূমপান করেন তবে ছেড়ে দিন। ধূমপান উল্লেখযোগ্যভাবে মধ্যবয়সী এবং বয়স্ক পুরুষদের পুরুষত্বহীনতার সাথে জড়িত।
- একজন থেরাপিস্ট বা কাউন্সেলরের সাথে কথা বলুন।
উপসংহার
অনেক পুরুষ তাদের ডাক্তারদের সাথে ইডি সম্পর্কে কথা বলতে বিব্রত বোধ করার কারণে যথাযথ চিকিৎসা সহায়তা চাইতে অস্বীকার করে। ইডির চারপাশের এই নিষিদ্ধ গন্ডি দূর করা দরকার। এটি একটি অসুস্থতা ছাড়া আর কিছুই নয় যা সময়মত চিকিৎসা সহায়তা নিলে সহজেই নিরাময় করা যায়।