আসসালামু আলাইকুম দাউদ বিডি ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আজকের আলোচনার লো ব্লাড প্রেসার হলে কী করবেন |
এখানে কিছু ঘরোয়া উপায় দেওয়া হলো যা আপনার ব্লাড প্রেশার বাড়াতে সাহায্য করতে পারে:
লো ব্লাড প্রেসার
স্বাভাবিক রক্তচাপ বয়সের ভেদে তারতম্য ঘটে। এক জন সুস্থ মধ্যবয়সি লোকের উচ্চরক্তচাপ ১২০/৭০ মি: মি মারকারি থাকা উচিত। আর যাদের রক্তচাপ সিসটোলিক ৯০ এবং ডায়াসটোলিক ৬০-এর নিচে থাকে তাদের আমরা হাইপোটেনশন বা লো ব্লাড প্রেসার আছে বলে ধরে নেই। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে রক্তশূন্যতা, পানিশূন্যতা, টেনশন, অধিক ব্যায়ামের কারণে ব্লাড প্রেসার কমে যেতে পারে। এছাড়া লো ব্লাড প্রেসারের কারণে আকষ্মিক মাথা ঘুরে পড়ে যাবার ঘটনাও ঘটে
উচ্চ রক্তচাপের মতোই নিম্ন রক্তচাপও অত্যন্ত বিপজ্জনক। হঠাৎ ব্লাড প্রেশার কমে গেলে হৃৎপিণ্ড আর মস্তিষ্কসহ শরীরের অন্যান্য অংশে রক্ত সঞ্চালনের পরিমাণ কমে যায়। ফলে শরীর দুর্বল লাগা, মাথাঘোরা, বমি ভাব, জ্ঞান হারানো, বুক ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা এমনকি স্ট্রোকও হয়। এসব সমস্যা এড়াতে সব সময় শরীরের রক্ত চলাচলে ব্যালেন্স রাখা জরুরি। কমে যাওয়া ব্লাড প্রেশারের ব্যালেন্স ফেরাতে কিছু সহজ উপায় রয়েছে। চলুন জেনে নেই।
ক্যাফেইন
বিশেষজ্ঞদের মতে, হঠাৎ ব্লাড প্রেশার কমে গেলে চা অথবা কফি পান করা একটি কার্যকর উপায়। কফিতে বিদ্যমান ক্যাফেইন সাময়িকভাবে ব্লাড প্রেশার বাড়াতে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া চা অথবা কফির মতো পানীয়গুলো শরীরের ক্লান্তভাবও দূর করে।
পানি
লো ব্লাড প্রেশারের সমস্যা রয়েছে এমন রোগীদের বেশি বেশি পানি পান করা জরুরি। প্রতিদিন অন্তত ২ থেকে ৩ লিটার পানি শরীরের রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা ঠিক রাখে।
ফলের রস
বেশি পানি খেতে সমস্যা হলে ফলের রস এর কার্যকর ব্যতিক্রম। তবে স্যুপজাতীয় খাবারও খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি মেটানো যাবে। খেয়াল রাখতে হবে শরীর যেন কোনোভাবেই ডিহাইড্রেশনের কবলে না পড়ে।
তুলসীপাতা
হঠাৎ যাদের ব্লাড প্রেশার কমে যাওয়ার সমস্যা আছে তাদের জন্য উত্তম পথ্য হলো- প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ৫ থেকে ৭টি তুলসীপাতা চিবানো। তুলসীপাতায় উচ্চমাত্রায় পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন সি থাকে, যা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক। এ ছাড়া এতে ইউজিনোল নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়।
ডায়েট প্ল্যান
লো ব্লাড প্রেশারের রোগীদের সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করা সবচেয়ে জরুরি। ভারী খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য খাবারও খেতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ৩ বার ভারী খাবার খাওয়ার চেয়ে পাঁচবার অল্প অল্প করে খাওয়া বেশি উপকারী।
বাদাম
প্রেশার কমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ৫ থেকে ৬টি কাঠবাদাম খেয়ে নিন। কাঠবাদাম না থাকলে ১৫ থেকে ২০টি চিনাবাদামও খেতে পারেন। বাদাম প্রেশার বাড়াতে সহায়তা করে।
ডিম
দ্রুত ব্লাড প্রেশার বাড়াতে ডিম অনেক কার্যকর। একসঙ্গে দুটি ডিম খেয়ে নিলে হারানো প্রেশার ফিরে পাওয়া যাবে।
ডাব
এছাড়া গ্রামগঞ্জে প্রচুর ডাব পাওয়া যায়। ডাবের পানিও লো প্রেসারের ক্ষেত্রে উপকারী।
সবশেষে, আপনার ব্লাড প্রেশার প্রতিক্রিয়ামূলক হওয়ার পর প্রাথমিক সহায়তা অনুমোদন প্রাপ্ত হয়েছে, যা আপনাকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করবে। সতর্ক থাকুন, প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করুন এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করুন।