আসসালামু আলাইকুম দাউদ বিডিব্লগে আপনাকে স্বাগতম। আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব কিডনি রোগের কারণ কি?
কিডনি রোগের কারণ
সাধারণত শরীরের অন্যান্য রোগের কারণে ও কিডনিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে অথবা কিডনি বিকল হতে পারে। তাই সবসময় কিডনি রোগের লক্ষণগুলি উপস্থিত হওয়ার অর্থ এই নয় যে কিডনিতে সমস্যা রয়েছে। কিডনিতে রোগ তখনই প্রকট আকার ধারণ করে যখন এক বা একাধিক রোগ কিডনির কার্যকারিতায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে হস্তক্ষেপ করে। এমত অবস্থায় ধীরে ধীরে কিডনি তার কার্যকারিতা হারাতে থাকে এবং এক সময় বিকল হয়ে যায়। কিডনিতে রোগ হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে তারমধ্যে-
- টাইপ ১ বা টাইপ ২ ডায়াবেটিস
- উচ্চ রক্তচাপ
- পলিসিস্টিক কিডনি রোগ
- বংশগত কিডনি রোগ
- বয়স জনিত কিডনির সমস্যা
- প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া
- কিডনিতে পাথর হওয়া
- গ্লোমেরুলোনফ্রাইটিস
- ইন্টারস্টিশিয়াল নেফ্রাইটিস
- ক্যান্সার
- মূত্রথলির প্রদাহ
- পাইলোনেফ্রাইটিস
- মূত্রথলিতে পাথর
আরও পড়ুনঃ কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
যে রোগ ও অভ্যাসগুলো কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়
- ডায়াবেটিস
- উচ্চ রক্তচাপ
- হূদরোগ
- ধূমপান
- অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি
- বার্ধক্য জনিত সমস্যা
- নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে অধিক ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করা
- ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ওষুধ ব্যবহার করা
- জন্মগত কিডনির অস্বাভাবিক গঠন
- পরিবারিক কিডনি রোগের ইতিহাস
- জাতিগত সমস্যা (আমেরিকান আমেরিকান হওয়া)
আরও পড়ুনঃ কিডনি ভালো রাখার উপায়
কিডনি রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ
সাধারণত যখন কিডনির ক্ষমতা বেশ খানিকটা হ্রাস পায় তখনও মানব শরীরে কিডনি তার কার্যক্রম ঠিকভাবে চালাতে পারে ।তাই প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ গুলো অস্পষ্ট থাকে। কিডনি যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এ সময় শরীরে প্রচুর বজ্র পদার্থ ইলেক্ট্রোলাইট তৈরি হতে পারে যা শরীরে বিষ এর মত কাজ করো শুরু করে এই লক্ষণগুলি কিডনি রোগের শুরুতে দেখা দিতে পারে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বৃদ্ধি পায়।
প্রাথমিক লক্ষণ বা উপসর্গ:
কিডনি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে যা আপনার কাছে স্বাভাবিক মনে হতে পারে।এইসব উপসর্গের মধ্যে-
- বমি বমি ভাব
- খাদ্যে অরুচি বা ক্ষুধামন্দ্য
- শুষ্ক ত্বক এবং চুলকানি
- মাথা ধরা
- ক্লান্তি
- ওজন হ্রাস পাওয়া
- ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ পাওয়া।
- আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস এর লক্ষণ গুলো জেনে নিন
পরবর্তী লক্ষণ বা উপসর্গ:
- রক্তে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রা অস্থিতিশীল থাকার ফলে হারে এবং জয়েন্টে ব্যথা অনুভব হওয়া।
- শরীরে পানি জমে যাওয়ার ফলে গোড়ালি, পা এবং হাঁটু ফুলে যাওয়া।
- শরীরে বর্জ্য পদার্থ জমে যাওয়ার ফলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ এবং দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব হাওয়া।
- ক্ষুধামন্দ্য এবং ওজন হ্রাস পাওয়া
- বমি হওয়া এবং বারবার হিচকি তোলা
- ঘনঘন প্রস্রাবের বেগ পাওয়া প্রস্রাবের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া
- শ্বাসকষ্ট
- ক্লান্তি
- মলমূত্রের সঙ্গে রক্তক্ষরণ হওয়া
- বিষণ্ণতায় ভোগে
- মাংসপেশির অস্বাভাবিক সংকোচন
- ঘনঘন তৃষ্ণা পাওয়া
- ঋতুস্রাব বন্ধ
- হাওয়া
- অনিদ্রা
- শরীরের ত্বকের রং পরিবর্তন হওয়া
- যৌন ক্রিয়ায় অক্ষমতা
কিডনি সমস্যার জন্য এই রকম প্রাথমিক কারণগুলোর সাথে মেডিকেল চেকআপ এবং নিয়মিত পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমস্যা সনাক্ত হলে তা সঠিকভাবে পরিষ্কার করার জন্য নিকটস্থ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।