ক্লান্তি | শরীর দুর্বল লাগা
ক্লান্তির জন্য টনিক ও ভিটামিন এর ব্যবহার বহুল প্রচলিত । লোকে ক্লান্তবোধ করলেই সে ভাবে ঠিকভাবে খাচ্ছেনা বলে পুষ্টিহীনতা বা ভিটামিন শূন্যতায় ভোগছে । কিন্তু যারা ক্লান্তিবোধ ( tiredness ) করে তাদের সিংহভাগের ক্ষেত্রেই টনিক বা ভিটামিন কোন কাজে আসেনা । রক্তশূন্যতা বা পুষ্টিহীনতার সুনির্দিষ্ট লক্ষণ ছাড়া টনিক বা ভিটামিন দেয়া কোন কাজের কথা নয় । বেশী করে দেশি সিজনাল ফল, সবুজ শাকসবজি , দুধ মাছ-গোশত খাওয়া বরঞ্চ পরিনামে টনিক যাওয়ার চেয়ে অনেক বেশী উপকারী । ঔষধ কোম্পানীগুলোর চটকদার বিজ্ঞাপন ও বিপনন কার্যক্রমের কারণে কেউ ক্লান্তবোধ করলেই তিনি টনিক বা ভিটামিন খেয়ে থাকেন বা খাওয়ার জন্য উৎসাহিত হন ।তবে অবশ্যই যদি কোন ভিটামিনের বা আয়রনের অভাবে একজন মানুষ ক্লান্তি বোধ করে তাহলে তাকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন আয়রন অথবা ক্যালসিয়াম ইত্যাদি দিতে হবে। শারীরিক কোনো কারণে ক্লান্ত বোধ করলে সঠিক কারণ নির্ধারণ করে ওই কারণে চিকিৎসা করতে হবে তখন ভিটামিন বা টনিক কাজে আসবে না।আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে শুধু শুধু শারীরিক কারনে একজন মানুষ ক্লান্তি বোধ করে না , মানসিক কারণেও ক্লান্তি বোধ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে মানসিক কারণ দূর না করে ভিটামিন টনিক দিলে ক্লান্তির কোন উন্নতি হবে না। রোগী ভিটামিন টনিক খাচ্ছে এটা জাস্ট তাকে আত্ম তৃপ্তি দিতে পারে । এসব ক্ষেত্রে অনেক চিকিৎসক রোগীর মাইন্ড স্যাটিসফ্যাকশন এর জন্য ভিটামিন বা টনিক দিয়ে থাকেন।
ক্লান্তিবোধ করে এমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে নিম্নের বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে :
- ক্লান্তিবোধ সবক্ষেত্রে কোন অসুখের ফল নয় । কেউ যদি অতিরিক্ত কাজ করে তাহলে তার শরীর স্বভাবতই ক্লান্তবোধ করবে ।
- ক্লান্তিবোধ শারীরিক অথবা মানসিক দুই কারনেই হতে পারে । মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বিবেচনা করার আগে শারীরিক কোন কারন নেই এ বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে ।
- বিষণ্নতা / অবসাদগ্রস্থতা উদ্বেগ মদ বা ড্রাগের অপব্যবহার এর কারনে ক্লান্তিবোধ হতে পারে যা দুই সপ্তাহের চেয়ে বেশী সময় স্থায়ী হয় ।
- ক্লান্তিবোধ এর কোন সুনির্দিষ্ট ঔষধ নেই । টনিক বা ভিটামিন ক্লান্তিবোধ সারাতে আদৌ কোন ফল দেয় ।
- রক্তশূন্যতা এবং ভিটামিন স্বল্পতা এর সুস্পষ্ট লক্ষণ রয়েছে এমন ক্লান্তিবোধ এর ক্ষেত্রে টনিক বা ভিটামিন দেয়া যায় ।
- ক্লান্তিবোধ রোগীর চিকিৎসা ক্ষেত্রে শারীরিক কাজকর্মে অংশগ্রহণ ক্রমশ বাড়িয়ে , বিষণ্নতানাশক বা অবসাদগ্রস্থতানাশক সমস্যা সমাধান পরামর্শ দান ইত্যাদি হলো চিকিৎসার প্রকৃষ্ট উপায় ।