গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাস্ট্রাইটিস রোগীর জন্য খাদ্য পরিকল্পনা (Diet Plan)
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। তবে একটু সচেতন হলেই সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। নিচে গ্যাস্ট্রিক রোগীদের জন্য উপযোগী খাবার, এড়িয়ে চলার মতো খাদ্য এবং কিছু নিয়মাবলি তুলে ধরা হলো।
খেতে পারেন:
- ★ ভাত (হালকা ও গরম)
- ★ নরম সবজি (লাউ, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে, ঝিঙ্গে, চাল কুমড়া)
- ★ দুধ (কম চর্বিযুক্ত, হালকা গরম — তবে যদি IBS থাকে, তবে এড়িয়ে চলুন)
- ★ পাকা পেঁপে
- ★ কম মসলা দিয়ে রান্না করা মাছ
- ★ ডাবের পানি (পরিমাণমতো)
- ★ আদা চা (দুধ ও চা পাতা ছাড়া)
- ★ ওটস বা সুজি (পানি বা দুধে রান্না করা)
- ★ ঘরে বানানো টক দই
যা এড়িয়ে চলবেন:
- ★ ঝাল, টক ও ভাজা খাবার (বিরিয়ানি, ভর্তা, আচার)
- ★ লাল মাংস ও বেশি তেলে ভাজা খাবার
- ★ সফট ড্রিংকস, কফি
- ★ ধূমপান ও অতিরিক্ত চা
- ★ দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা
- ★ টমেটো, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, লেবু — টক জাতীয় সবজি ও ফল
খাবার গ্রহণের নিয়ম:
- ★ সময়মতো খাওয়া, বিশেষ করে সকালে নাস্তা না করলে সমস্যা বাড়ে
- ★ একবারে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে বারবার খান (৫-৬ বার)
- ★ খাওয়ার পরে সঙ্গে সঙ্গে শোয়া উচিত নয়
- ★ খুব ঠান্ডা বা খুব গরম খাবার খাওয়া থেকেও বিরত থাকুন
বিশেষ টিপস:
- ★ প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন (৮-১০ গ্লাস)
- ★ পেট খালি রাখবেন না, হালকা কিছু খেয়ে নিন
- ★ স্ট্রেস কমান, ঘুম ঠিক রাখুন
মনে রাখবেন:
গ্যাস্ট্রিক নিরাময়ে ওষুধের পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। তাই খাবার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকুন এবং নিয়ম মেনে চলুন। এতে দীর্ঘস্থায়ী উপকার মিলবে এবং গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
শেয়ার করে রাখুন, আপনার কাছের কেউ হয়তো উপকৃত হবেন।